Home / জাতীয় / জামায়াতের আমির কোমায় দাবিতে ভুয়া ছবি প্রচার

জামায়াতের আমির কোমায় দাবিতে ভুয়া ছবি প্রচার

গত ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশে হঠাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান। পরবর্তীতে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

এরই প্রেক্ষিতে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হাসপাতালে জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমানের ছবি বলে মিথ্যা দাবি করে একটি ভিন্ন ছবি প্রচার করা হচ্ছে যেখানে বলা হচ্ছে, “ডা: শফিকুর রহমানের অবস্থা সংকটাপন্ন। বর্তমানে কোমায় আছেন।” 

এই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট আছে এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

শুরুতেই ইনসাইড রিউমারস এর কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে দেশীয় কোনো গণমাধ্যমে ড. শফিকুর রহমান কোমায় আছেন বিষয়ক কোনো তথ্য কিংবা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে গত ২ আগস্ট দৈনিক গণমাধ্যম প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে “জামায়াত আমিরের হার্টে সফল অস্ত্রোপাচার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

বিষয়টি নিয়ে আরও অনুসন্ধানে ‘Bangladesh Jamaat-e-Islami’ এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আলোচিত দাবি সম্পর্কিত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে আজ (৩ আগস্ট) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ড. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে আসার বিষয়ে একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, জামায়াতে আমির ড. শফিকুর রহমান সুস্থ আছেন এবং উনি কথা বলতে পারছেন। 

পরবর্তীতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টে থাকা ছবির বিষয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে স্টক ছবির ওয়েবসাইট ‘Shutter Stock’ এ ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর “Monitoring of comatose patient in intensive care” শিরোনামে প্রকাশিত একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্ট থাকা ছবির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ ছবিটি জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমানের নয়। বরং শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি সুস্থ আছেন এবং কথা বলতে পারছেন। 

Tagged: