Home / আন্তর্জাতিক / ভারতীয় বিমানযাত্রীকে থাপ্পড়ের ঘটনায় মিথ্যা তথ্য প্রচার

ভারতীয় বিমানযাত্রীকে থাপ্পড়ের ঘটনায় মিথ্যা তথ্য প্রচার

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে যেখানে একাধিক দাবিতে বলা হচ্ছে, ভারতের আসামের লাটিমারার হাফেজ হুসাইন আহমদ টাইফয়েড জনিত কারণে অন্ধ হয়ে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মুম্বাই গিয়েছিলেন। ফেরার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে তার সিট খুঁজার সময় এক হিন্দু সহযাত্রীর চেহারায় তার হাত লেগে যায় এবং হিন্দু সহযাত্রী তাকে চড় মারে। বিমান ক্রুরা তাকে সহায়তা না করে হামলাকারীকে শান্ত করার চেষ্টা করে এবং পরবর্তীতে শিলাচরে পৌঁছে তিনি ১২ ঘন্টা নিখোঁজ ছিলেন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাকে টর্চার করে।

এই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট রয়েছে এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত একটি পোস্ট এই প্রতিবেদন প্রকাশ করার আগ পর্যন্ত প্রায় সাত লক্ষ ষোলো হাজার বার দেখা হয়েছে এবং এক হাজার চারশত মানুষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে অন্তত এক হাজার নয়শত বার। 

শুরুতেই ইনসাইড রিউমারস প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে বাংলাদেশের দৈনিক গণমাধ্যম প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির বরাতে “ভারতে উড়োজাহাজে সহযাত্রীর থাপ্পড়ের পর খোঁজও মিলছে না যাত্রীর: পরিবারের দাবি” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবির সাথে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিসহ আশেপাশের দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় একটি উড়োজাহাজ ফ্লাইটে হুসেইন আহমেদ মজুমদার নামক এক ব্যক্তিকে তার সহযাত্রী থাপ্পড় দিয়েছেন। ইন্ডিগো বিমানের এক ফ্লাইটে মাঝ-আকাশে হুসেইন প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পর এক যাত্রী তাকে চড় মারে এবং চড় দেওয়া ব্যক্তির নাম হাফিজুল রহমান। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কলকাতায় উড়োজাহাজ থেকে নামার পর নিরাপত্তাকর্মীরা হুসেইনকে চড় মারার ঘটনায় অভিযুক্ত হাফিজুল রহমানকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং থাপ্পড়ের শিকার হুসেইন নিখোঁজ রয়েছেন। 

বিষয়টি নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধানে এনডিটিভির ওয়েবসাইটে “Video: Man Suffers Panic Attack On Plane, Slapped By Fellow Passenger” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

একই বিষয়ে এনডিটিভির ওয়েবসাইটে “Slapped On Flight, He Went Missing, Then Found At Railway Station” শীর্ষক শিরোনামে আরও একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, নিখোঁজ সেই হুসেইন আহমেদকে আসামের বরপেটার একটি রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া গেছে৷ 

অর্থাৎ, ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টের দাবিগুলো সত্য নয়।

Tagged: