সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “বিএনপি’র নাম করে চাঁদা তুলতে গিয়ে আটক যুবলীগের নেতা” দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে।
এই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও আছে এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত একটি ভিডিও এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ১৪ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ৮ হাজারের অধিক বার।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ইনসাইড রিউমারস। ভিডিও পর্যবেক্ষণে ভিডিওর নিচে বামপাশে সময় টেলিভিশনের একটি লোগো দেখতে পাওয়া যায়। উক্ত লোগোর সূত্র ধরে সময় টেলিভিশনের ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইট অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির বিষয়ে কোন তথ্য কিংবা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানেও দেশীয় কোন গণমাধ্যমে আলোচিত দাবির পক্ষে কোন সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
লোগোটির আশেপাশে ভালো করে তাকালে এটা স্পষ্ট হয় যে সেটি কেটে নেওয়া হয়েছে অন্য একটি ভিডিও থেকে।
পরবর্তীতে আরো অনুসন্ধানে ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম প্রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে এনই’ এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিও থেকে জানা যায়, আসামের ডোবোকায় যমুনা গাঁও পঞ্চায়েতে নির্বাচিত প্রতিনিধির আত্মীয়দের সঙ্গে কিছু স্থানীয়ের কথা কাটাকাটি থেকে গ্রাম সভায় উত্তেজনা ছড়ায় এবং তা পরে সহিংসতায় রূপ নেয়।
আরও অনুসন্ধানে ‘ইন্ডিয়া টুডে এনই’ এর ওয়েবসাইটে “Assam: Chairs go flying as panchayat meet turns violent in Doboka, several injured” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসামের ডোবোকার যমুনা গাঁও পঞ্চায়েতে দুর্নীতি ও প্রশাসনিক অনিয়ম নিয়ে পুরনো অভিযোগের জেরে এক গ্রাম সভায় নির্বাচিত প্রতিনিধির আত্মীয়দের সঙ্গে কিছু স্থানীয়ের ঝগড়া বাঁধে। ঘটনাটি দ্রুত তীব্র আকার নেয় এবং প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে একে অপরকে আঘাত করার ফলে কয়েকজন আহত হন।
অর্থাৎ, সার্বিক পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, ভারতের।