সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় যুবলীগের দুইজন নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে দাবিতে ৫৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে৷
দাবিতে বলা হয়,“সুখিপুর উপজেলায় ককড়াজান ইউনিয়নে দুজন যুবলীগের নেতাকে রাতের আধারে কুপিয়ে হত্যা করেছে জামাত, বিএনপি, এনসিপির সন্ত্রাসীরা। নিহত শাহজাহান আবুল হোসেনের ছেলে এবং মজনু মিয়া ওই এলাকার লবু মিয়ার ছেলে। আর কত লাশ চায় এই অবৈধ স্বৈরাচার খুনি ইউনুস সরকার”
এই সংক্রান্ত ফেসবুক পোস্ট আছে এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে৷ এর মধ্যে একটি পোস্টে ৩৬৭ রিয়েক্ট পড়েছে এবং ১৭০ বার শেয়ার হয়েছে৷
ইনসাইড রিউমারসের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঘটনাটি একই এলাকার হলেও তা অন্তত দুই বছরের পুরোনো। আলোচিত দাবির প্রাসঙ্গিক কী-ওয়ার্ড সার্চ করে দেখা যায়, ভিডিওটি টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলার ২০২৩ সালের ঘটনা৷
২০২৩ সালের ২০ জুলাই “Oxygen-অক্সিজেন” নামের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে হুবহু একই দৃশ্যের একটি ফেসবুক রিল খুঁজে পাওয়া যায়। একই দিনে NC Nazmul নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির একাউন্ট থেকে প্রায় একই ধরণের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়৷ ভিডিওতে বলা হয়,“সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি পূর্ব পাড়া বাংলাবাজারে গ্রামে দুইজনকে রাতের আধারে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত শাহজালাল (৩৫)আবুল হোসেনের ছেলে এবং মজনু মিয়া (৫৫)ওই এলাকার নবু মিয়ার ছেলে।”
একই ঘটনায় সে সময়ে প্রকাশিত একাধিক সংবাদ প্রতিবেদনের সন্ধান পেয়েছে ইনসাইড রিউমারস। বাসস ও দ্যা ডেইলি স্টারের বাংলা সংস্করণে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়৷ এতে বলা হয়, টাঙ্গাইলের সখীপুরে ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ ব্যবসায়ীসহ দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি বাংলাবাজার এলাকায় সড়কে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।
সুতরাং ফেসবুকে পোস্ট ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির ঘটনা সত্যি হলেও এটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বলে নিশ্চিত হয়েছে ইনসাইড রিউমারস। যুবলীগের দুই নেতাকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ পায়নি ইনসাইড রিউমারস। তাই এই দাবিটিকে মিথ্যা রেটিং দেওয়া হলো।