Home / জাতীয় / ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনাকে নারী নির্যাতন দাবিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা

ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনাকে নারী নির্যাতন দাবিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি “হে নারী সমাজ, চুপ থাকলে কাল আমাদের সাথেও এমন হবে! আমরা কেমন পুরুষ, মা জাতিকে এভাবে অপমান করি?” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, কয়েকজন পুরুষ একজন নারীকে দলবেঁধে মারধর করছে এবং তার পরিহিত পোশাক খুলে ফেলছে। 

এই দাবিতে ফেসবুকে পোস্ট আছে এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত একটি ভিডিও এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ৫৮ হাজার বার দেখা হয়েছে। পাশাপাশি চার শতাধিক শেয়ার এবং ভিডিওটিতে সাত শতাধিক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। 

প্রচারিত ভিডিওতে দাবি করা হয়, “দেশে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জুলাই অভ্যুত্থানে পর লাল স্বাধীনতা নামে নারীদের প্রতি অত্যাচার ও নির্যাতন বেড়েই চলছে। পুরুষের নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে নারীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে। এখনও যদি এ নিয়ে কথা বলা না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এর পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে।”

দাবির বিষয়ে অনুসন্ধান

প্রচারিত দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানের শুরুতেই ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ইনসাইড রিউমারস। কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতির মাধ্যমে অনুসন্ধানে দেশীয় গণমাধ্যমে উক্ত দাবি সংক্রান্ত কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে “দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার” ও “দৈনিক জনগণের অধিকার” নামক অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম থেকে ঘটনাটি সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। 

জানা যায়, ভিডিওর ঘটনাটি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ধাপের হাটে ঘটেছে। রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আরভি বাসে যাত্রীদের কাছে টাকা না পাওয়ায় দুই ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি বাস যাত্রীদেরকে নিজেদের গোপনাঙ্গ দেখায়। বিষয়টি জানাজানি হলে ধাপের হাট এলাকায় বাস থামিয়ে বিক্ষুব্ধ জনগণ তাদের মারধর করে। একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও অপরজন জণগনের রোষানলে পড়ে।

ফ্যাক্ট ইমেজ 

আর সেই ঘটনাকেই “নারীর সঙ্গে বর্বরতা,” “লাল স্বাধীনতার সুফল,” “একজন পুরুষ কিভাবে এমন নিষ্ঠুর হতে পারে” সহ বিভিন্ন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি স্পষ্ট যে, নারী নিরাপত্তা ও তার উপর পুরুষের বর্বরতার দাবিটি মিথ্যা হলেও ভিডিওর ঘটনাটি সত্যি। সুতরাং এই ফ্যাক্ট-চেকটাকে বিভ্রান্তিকর রেটিং দেওয়া হলো। 

Tagged: