সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক চিফ অব স্টাফ জেমস চার্লস ম্যাককনভিলের একটি ভিডিও প্রচার করে “বাংলাদেশে সহিংসতা ও জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মার্কিন সেনা প্রবেশের নির্দেশ পেয়েছে” বলে দাবি করা হচ্ছে৷
দাবিতে বলা হয়, “চরম ধামাকা শুরু….! জাতিসংঘ সদরদপ্তর কতৃক বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা ও জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মার্কিন সেনা প্রবেশের নির্দেশ পেয়েছে, তারা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থিতিশীল ও নির্বাচিত আওয়ামী সরকারের হাতে ক্ষমতা পুনর্বহাল করার জন্য কাজ করবে” (বানান অপরিবর্তিত)।
এই সংক্রান্ত দাবিতে ফেসবুক পোস্ট রয়েছে এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷ এর মধ্যে একটি ভিডিও দেখেছে ২১ হাজার মানুষ, শেয়ার হয়েছে ৯৪৬ বার৷
ইনসাইড রিউমারসের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে বাংলাদেশ সম্পর্কে আসলে কিছুই বলা হয়নি৷ বরং ভিডিওটি ২০২৩ সালের এবং ভিডিওতে ইউক্রেন যুদ্ধে সম্পর্কে জেমস চার্লস ম্যাককনভিলকে কথা বলতে দেখা যায়৷
অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিও’র কী-ফ্রেম সার্চ করে Council on Foreign Relations নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে ৫৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিওর সন্ধান পায় ইনসাইড রিউমারস; যা আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া যায়৷
ভিডিওতে মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক চিফ অব স্টাফ জেমস সি ম্যাককনভিল বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে পাওয়া অন্যতম বড় শিক্ষা হলো — আধুনিক যুদ্ধে সফল হতে হলে দেশগুলোকে সমুদ্র, আকাশ, মহাকাশ এবং সাইবারসহ সব ক্ষেত্রেই সমন্বিতভাবে কাজ করার সক্ষমতা থাকতে হবে।”
অর্থাৎ, “বাংলাদেশে সহিংসতা ও জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মার্কিন সেনা প্রবেশের নির্দেশ পেয়েছে” দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ভুয়া৷
এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে অনুসন্ধান চালায় ইনসাইড রিউমারস। তবে আলোচিত দাবির স্বপক্ষে কোনো সংবাদ প্রতিবেদনের সন্ধান পাওয়া যায়নি৷
সুতরাং, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে বাংলাদেশের মার্কিন সেনা প্রবেশ সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি, বরং ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার কথা তুলে ধরেছেন সাবেক মার্কিন চিফ অব স্টাফ।