প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন আয়োজিত “লংমার্চ টু ঢাকা” কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে শাহবাগে ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে দাবিতে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে৷
ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হচ্ছে,‘ইন্টারনেট বন্ধ কেন ইউনুস সরকার জবাব চাই” (বানান অপরিবর্তিত)।
এই সংক্রান্ত দাবিতে পোস্ট আছে এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
তবে ইনসাইড রিউমারসের অনুসন্ধানে জানা যায়, শাহবাগে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ হবার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের সন্ধান করেছে ইনসাইড রিউমারস। তবে এ বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি৷
শাহবাগে ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে এমন একটি পোস্ট করেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজও। তবে ওই সময়ে ইন্টারনেট বন্ধের প্রমাণ না মেলায় পোস্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি৷ এ নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন আয়োজিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে শাহবাগে ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে এমন একটি পোস্ট করেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ। তবে ওই সময়ে ইন্টারনেট বন্ধের প্রমাণ না মেলায় পোস্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। বুধবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক আইডি দেয়া এক পোস্টে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।”
আবরার ফাইয়াজ তার পোস্টে লেখেন, “আজকে দুপুরে শাহবাগে ইন্টারনেট বন্ধ এরকমের একটি পোস্ট করেছিলাম। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারলাম, সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে আমরা শিক্ষার্থীরা হামলার পরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল এর আশেপাশে ইন্টারনেটে এক্সেস করতে সক্ষম হইনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, অথবা খুবই স্লো স্পিড পেয়েছি।”
উল্লেখ্য, একটি নির্দিষ্ট এলাকায় একইসাথে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মানুষ উপস্থিত হলে নেটওয়ার্ক জ্যামের কারণে ইন্টারনেট সেবার গতি কমে যাওয়া কিংবা বিঘ্নিত হবার সম্ভাবনা থাকে। প্রতিটি মোবাইল টাওয়ারের একটি নির্দিষ্ট ক্ষমতা আছে। এ কারণে যখন কোনো কনসার্ট বা বড় অনুষ্ঠানে বহু মানুষ একসঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তখন সেই এলাকায় মোবাইল টাওয়ার সব ব্যবহারকারীকে সমানভাবে ডেটা দিতে পারে না এবং ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যায়।
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্বতঃর্ফূত হয়ে বহু শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিলো। এখানে নেটওয়ার্ক জ্যাম সৃষ্টির কারণে ইন্টারনেটের গতি কমার সম্ভাবনা থাকে।
সার্বিক অনুসন্ধানে আলোচিত দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ পায়নি ইনসাইড রিউমারস৷ এমনকি আলোচিত দাবিতে প্রচার করা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভিডিওতেও এ নিয়ে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি৷ তাই এই দাবিটাকে বিভ্রান্তিকর রেটিং প্রদান করা হলো।