সম্প্রতি প্রবাসীদের নিয়ে “ইন্ডিয়া পাকিস্তান নেপাল থেকে প্রবাসে আসতে খরচ হয় এক লাখ টাকা আর বাংলাদেশ থেকে প্রবাসিদের আসতে খরচ হয় ৫ লাখ টাকা” শিরোনামে এক পুলিশ সদস্যের বক্তব্য দাবিতে ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে পুলিশ সদস্যকে বলতে শোনা যায়,“ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, নেপাল থেকে প্রবাসে আসতে খরচ হয় এক লক্ষ টাকা। আর আমাদের বারো আউলিয়ার দেশ বাংলাদেশ থেকে প্রবাসীদের আসতে খরচ হয় ৫ লক্ষ টাকা। চাঁদাবাজি শুধু রাস্তায় হয়না, প্রত্যেকটা প্রবাসীর সাথে হয়। এ দালালদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে। প্রত্যেকটা প্রবাসীর পক্ষ থেকে আমার এই দাবী।”
এই দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ভিডিও আছে এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। এর মধ্যে একটি ব্লু-টিক থাকা ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্ট থেকেও ভিডিওটি পোস্ট করা হয়, যা দেখেছে প্রায় দেড় হাজার মানুষ৷
তবে ইনসাইড রিউমারসের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রবাসীদের নিয়ে দেওয়া পুলিশ সদস্যের বক্তব্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি৷
প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটির শুরুর ৮ সেকেন্ডে এক পুলিশ সদস্যকে কথা বলতে শোনা গেলেও ৯ সেকেন্ড সময় হতে ভিন্ন আরেকজন পুলিশ সদস্যকে কথা বলতে শোনা যায়। একই সঙ্গে ভিডিও’র ভয়েস ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাতেও খানিকটা কৃত্রিমতা পরিলক্ষিত হয়৷
ভিডিওতে পুলিশ সদস্য যে পোশাক পরে কথা বলছেন, তা বাস্তবে পুলিশের পোশাকের সঙ্গে মিল নেই৷ এমনকি পেছনে থাকা দর্শকদের চোখের পাতা নড়চড় হতে দেখা যায়নি৷ যা সাধারণত এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্টের ক্ষেত্রে দেখা যায়৷
বিষয়টি নিয়ে আরও নিশ্চিত হতে এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম ডি-কপি এআই (Decopy Ai) এর সহযোগিতা নেয় ইনসাইড রিউমারস৷ এতে দেখা যায়, ভিডিওটি ৯৮.২০ শতাংশ এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷
সুতরাং, প্রবাসীদের নিয়ে পুলিশ সদস্যের বক্তব্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি এআই দিয়ে তৈরি৷