Home / রাজনীতি / ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির-এনসিপির সংঘর্ষ দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরনো ভিডিও প্রচার

ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির-এনসিপির সংঘর্ষ দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরনো ভিডিও প্রচার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রদল, ছাত্র শিবির ও এনসিপি সমর্থকেরা ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, ”সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই মুহূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন ঘিরে ছাত্রদল,শিবির এবং এনসিপি ত্রি-মুখী সংঘর্ষ চলছে। আমেরিকা,পাকিস্তানের মদদে সোনার দেশ গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে!” (বানান অপরিবর্তিত) 

এই সংক্রান্ত দাবিতে ফেসবুক পোস্ট রয়েছে এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। এর মধ্যে একটি ভিডিও দেখেছে ১৭ হাজার মানুষ, শেয়ার হয়েছে ২৫০ বার। 

তবে ইনসাইড রিউমারসের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি আসলে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাইয়ের। সেদিন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা৷ 

সেই ঘটনার ভিডিও ছাত্রদল, ছাত্র শিবির ও এনসিপি সমর্থকেরা ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে দাবিতে এখন প্রচার করা হচ্ছে৷ 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটি নিয়ে ছাত্রদল, ছাত্র শিবির ও এনসিপি সমর্থকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের কথা বলা হলেও ভিডিওটিতে আন্দোলনকারীদের মাইকে “ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা, হুশিয়ার, সাবধান”, “সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও” ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়। 

এসব সূত্রে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চে বাংলাদেশ জাতীয়াবাদী দলের (বিএনপি) ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় ২০২৪ সালের ১৫ জুলাইয়ে আপলোড করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়; যার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে৷ 

ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, ”ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলা। আহত অসংখ্যা ছাত্র-ছাত্রী।”

ভিডিওর কয়েকটি দৃশ্য নিয়ে রিভার্স-ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিডিওতে আহত এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন সহপাঠীরা৷ দৃশ্যটি হুবহু ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই MD Jamiul Islam নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর একাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়৷ 

সার্বিক অনুসন্ধানে এটি স্পষ্ট যে, আলোচিত দৃশ্য ও ভিডিওটি এক বছরেরও বেশি পুরনো। এমনকি আলোচিত দাবির স্বপক্ষে সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় গণমাধ্যমে কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। 

Tagged: