সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে “28/08/25পুলিশ নির্বিচারে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি নিক্ষেপ করছে” শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট আছে এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ইনসাইড রিউমারসের অনুসন্ধান
শুরুতেই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির বিষয়ে একাধিক কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে ‘মসজিদ মাদ্রাসা খেদমত সেন্টার/আর্জেন্ট খেদমত দিচ্ছি নিচ্ছি’ নামক একটি ফেসবুক পাতায় ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর “দেখুন আজ প্রথম আলোর অফিসের সামনে পুলিশ কিভাবে শান্তিপুর্ন সমাবেশে হামলা করছে” ক্যাপশন সম্বলিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়।
এই পোস্টে থাকা ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর হুবহু সাদৃশ্য রয়েছে এবং ভিডিওটির ক্যাপশনে থাকা তথ্য থেকে জানা যায় এটি প্রথম আলোর অফিসের সামনে সমাবেশে পুলিশের হামলার ভিডিও।
অর্থাৎ ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের কোনো ঘটনার নয়।
পরবর্তীতে এর সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর ইংরেজি সংবাদপত্র ঢাকা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে “প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, “২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রথম আলো পত্রিকার অফিসের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের জন্য টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। ওইদিন দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে জোড়া গরু জবেহ কর্মসূচি শুরু করেছিল।”
সুতরাং সার্বিক পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর দাবিটি সঠিক নয়; বরং ২০২৪ সালে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার ভিডিওকেই আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।