সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে “কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল-শিবিরের হামলা” শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে।
এই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট আছে এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত একটি ভিডিও এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৫২ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং প্রায় ৫৪০ বার শেয়ার করা হয়েছে।
ইনসাইড রিউমারসের অনুসন্ধান
শুরুতেই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ইনসাইড রিউমারস। ভিডিওর ডান পাশে ওপরের দিকে সমকাল এর লোগোর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে সমকালের ইউটিউব চ্যানেলে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।
তবে সমকালের সেই ভিডিওর কোথাও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রদল ও শিবিরের হামলা করার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায় সেটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার দৃশ্য।
এর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গত ৩১ আগস্ট সমকালের ওয়েবসাইটে “শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার পর বন্ধ বাকৃবি” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শিক্ষকদের অবরুদ্ধ এবং শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনার পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিবেদনের কোথাও এই ছাত্রদল ও শিবিরের হামলা দাবিটির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।
সুতরাং, সার্বিক পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও শিবিরের হামলার দাবিটি সঠিক নয়; বরং সেখানে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনার দৃশ্যকেই আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।