Home / রাজনীতি / ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর শিবিরের হামলার ভুয়া দাবি ফেসবুকে

ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর শিবিরের হামলার ভুয়া দাবি ফেসবুকে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে “গুপ্ত সংগঠন শিবির ও তাদের ভাড়া করা বহিরাগত স**সীরা আজ বিকালে ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘জয় বাংলার লোক’ ট্যাগ দিয়ে বেধড়ক পি’টিয়েছে” শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। 

এই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট আছে এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রায় ১৮ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং ভিডিওটি প্রায় ৩৮৯ বার শেয়ার করা হয়েছে। 

ইনসাইড রিউমারসের অনুসন্ধান 

শুরুতেই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ইনসাইড রিউমারস। ভিডিওর বিষয়ে একাধিক কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে ‘ZM Mamun’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই একটি ভিডিও পাওয়া যায়; যার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশনে থাকা তথ্য অনুযায়ী এটি কোটা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ভিডিও।

পরবর্তীতে এর সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি-ওয়ার্ড সার্চে বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই  “ঢাবি ‘রণক্ষেত্র’: আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় দুই শতাধিক আহতের দাবি” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই বিকেলের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাথায় হেলমেট ও হাতে লাঠি নিয়ে কিছু তরুণ আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণ চালায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের হামলায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বর থেকে শুরু করে ভিসি চত্বর, নীলক্ষেত ও ফুলার রোড হয়ে শহীদ মিনারের দিকে আন্দোলনকারীদের তাড়িয়ে দেয়া হয়। পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়।

অর্থাৎ ভিডিওটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর শিবিরের হামলার কোনো ঘটনার নয়। বরং ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার একটি ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

Tagged: