সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে “এই মুহূর্তে পাকিস্তান থেকে আনা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের সন্ধানে হাটহাজারী মাদ্রাসায় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে” শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট আছে এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
এই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং ভিডিওটি প্রায় ৫০০ বার শেয়ার করা হয়েছে।
ইনসাইড রিউমারসের অনুসন্ধান
শুরুতেই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ইনসাইড রিউমারস। ভিডিওর বিষয়ে একাধিক কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে গত ২৫ নভেম্বর ‘RS Multimedia’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও পাওয়া যায়।
উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে।
ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায় এটি প্রথম আলোর অফিসের সামনে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ভিডিও।
উক্ত ভিডিওর সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর ইংরেজি সংবাদপত্র ঢাকা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে “প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রথম আলো পত্রিকার অফিসের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের জন্য টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। ওইদিন দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে জোড়া গরু জবেহ কর্মসূচি শুরু করেছিল।
আরো অনুসন্ধানে ‘হাটহাজারী মাদ্রাসায় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর অভিযান’ দাবিটির স্বপক্ষে মূলধারার গণমাধ্যমে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, সার্বিক পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে, হাটহাজারী মাদ্রাসায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অভিযানের দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সঠিক নয়; বরং ২০২৪ সালে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার ভিডিওকেই আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।