রোববার (১৩ জুলাই) সরকারি উদ্যোগে হজযাত্রায় বেঁচে যাওয়া ৮.২৮ কোটি টাকা ৪,৯৭৮ হাজিদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম।
টাকা ফেরতের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই উদ্যোগটিকে “বিরল” এবং “দেশের ইতিহাসে প্রথম” বলে দাবি করছেন; যা সঠিক নয়।
২০২২ এবং ২০২৩ সালে প্রকাশিত একাধিক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এই দুই বছরেও সরকার হজ পালনের বেঁচে যাওয়া অর্থ ফেরতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে তৎকালীন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাতে বলা হয়, সৌদি আরবে বাড়ি ও হোটেল ভাড়ার জন্য ব্যয় না হওয়া অর্থ সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের ফেরত দেওয়া হবে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, প্যাকেজ-১ এর প্রত্যেকে ৪৭ হাজার ৭২৬ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর প্রত্যেকে ১০ হাজার ২৯৩ টাকা করে ফেরত পাবেন।
একইভাবে ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট যুগান্তরের একটি প্রতিবেদনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বরাতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা সেই বছর পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তাদের প্রত্যেকে ৪৬ হাজার ৭২৫ টাকা করে ফেরত পাবেন। খাবার ও প্যাকেজের খরচ কমানোর কারণে এ টাকা সাশ্রয় হয়েছিল।
সবগুলো সংবাদের আর্কাইভ লিংক নিচে দেওয়া হলো:
** এ বছরের ১৩ জুলাই প্রকাশিত সংবাদ: https://ghostarchive.org/archive/OQ9LL
** “বিরল” এবং “দেশের ইতিহাসে প্রথম” বলে দাবি করা ফেসবুক পোস্ট সমূহ:
১. https://ghostarchive.org/archive/hMsbh
২. https://ghostarchive.org/archive/eZdpd
৩. https://ghostarchive.org/archive/E6PEK
** ২০২২ সালে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন: https://ghostarchive.org/archive/e7NSs
** ২০২৩ সালে প্রকাশিত যুগান্তরের প্রতিবেদন: https://ghostarchive.org/archive/GrF2y
২০২৫ সালেই প্রথম নয়, বেঁচে যাওয়া হজের টাকা ২০২২ এবং ২০২৩ সালেও ফেরত দেওয়া হয়েছে।
